অঙ্কের প্রতি পড়ুয়াদের আরও আগ্রহী করে তুলতে এবং বিষয়টিকে সহজ করে বোঝাতে এবার স্কুলগুলিতে গণিত ল্যাবরেটরি তৈরির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। তবে এই আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগানোর আগে শিক্ষকদের বিষয়টিতে প্রশিক্ষিত করে তোলা হবে। ল্যাবরেটরির পরিকাঠামো তৈরি করার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষকদেরও প্রস্তুত হতে হবে। আর এই সমগ্র প্রকল্পের দায়িত্বে থাকবেন স্টেট কাউন্সিল এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং-এর (এসসিইআরটি) আধিকারিকরা।জানা যাচ্ছে, ফেব্রুয়ারি মাসে এই প্রশিক্ষণ শুরু হবে। শিক্ষকদের মতে, এই উদ্যোগ ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে যথেষ্ট লাভজনক হবে। অঙ্কের ভীতি কাটাতে সাহায্য করবে।
সেন্ট্রালি স্পনসর্ড স্কিম ফর টিচার এডুকেশনের অধীনে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করা হবে। শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, সিবিএসই বোর্ডের স্কুলগুলিতে এই ধরনের ল্যাবরেটরির সুবিধা আছে। একই রকম পরিষেবা এবার রাজ্যের সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতেও (মাধ্যমিক পর্যন্ত) দেওয়া হবে। ঠিক হয়েছে, প্রতিটি স্কুলের এই ল্যাবরেটিতে অঙ্ক করার নানান সরঞ্জাম রাখা হবে। থাকবে কম্পিউটার, প্রজেক্টর মেশিন, ক্যালকুলেটর ইত্যাদিও। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র বই-খাতা এবং চক-ডাস্টার ও ব্ল্যাকবোর্ডের মধ্যে গণিতকে আবদ্ধ না রেখে একটু প্র্যাক্টিক্যাল ভিত্তিক পাঠ দেওয়া গেলে বিষয়টি আরও বোধগম্য হবে পড়ুয়াদের কাছে।
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, প্রথমে বিভিন্ন ট্রেনিং প্রতিষ্ঠানগুলিতে এটি বসানো হবে। মূলত, জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিংয়ে (ডায়েট) এই ল্যাবরেটরি বসিয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রতিটি জেলার স্কুল পিছু একজন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তারপর তাঁরা স্কুলে ফিরে গিয়ে বাকিদের এই নতুন প্রকল্পের সঙ্গে ধাতস্থ করতে সাহায্য করবেন। এই প্রশিক্ষণের জন্য অবশ্য এসসিইআরটি পুস্তিকা তৈরি করছে।
কিন্তু কেন এই উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য?
শিক্ষা দপ্তরের কর্তারা বলেন, নানা সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, রাজ্যের পড়ুয়ারা অঙ্কে একটু কমজোরি। অন্যান্য বিষয়ে যেরকম আশানুরূপ ফল করেছে, সেই তুলনায় অঙ্কে বেশ পিছিয়েই আছে পড়ুয়াদের একটা বিরাট অংশ। তাদের অঙ্কে সফল করতেই এই রকম পরিষেবা দিতে চাইছে শিক্ষা দপ্তর।