bengali

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ট ওয়ান পরীক্ষায় অর্ধেকের বেশি ফেল, উপাচার্য সহ রেজিস্ট্রারকে তলব শিক্ষামন্ত্রীর

Webdesk | Saturday, January 27, 2018 6:28 PM IST

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএ পার্ট ওয়ানের ফলাফলে রেকর্ড সংখ্যক পরীক্ষার্থীর ফেল করার ঘটনায় হ্স্তক্ষেপ করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী তলব করলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও রেজিস্টারকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া নিয়মে অবসাদে আত্মহত্যা, এমনই অভিযোগ পর্ণার পরিবারের ৷উদ্বিগ্ন শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন নীতির বিয়ষটি নিয়ে শিক্ষা দফতরও ধোঁয়াশায়। পার্ট ওয়ানে কেন ফল এত খারাপ হল তা খতিয়ে দেখা হবে। নতুন পদ্ধতি চালুর আগে ঠিকমতো তার পর্যবেক্ষণ হয়েছিল কিনা সেই বিষয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন।

এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে কেন খারাপ ফল? কেন অনার্সে ভাল ফল, পাসে খারাপ ৷ সেটা খতিয়ে দেখতে হবে ৷’

 

 

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের অনার্স ও জেনেরালের ফল প্রকাশিত হয় পরশু দিন। দেখা যায়, কলা বিভাগে পাশের হার মাত্র ৪৩%। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখায় ও উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করার আর্জি জানায় অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীরা। পুলিশ তাদের জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের চত্বর এবং কলেজ স্কয়্যারে বিদ্যাসাগর মূর্তির সামনে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই বিক্ষোভ দেখানো চলবে না। পাশাপাশি, আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটি থাকায় উপাচার্যের সঙ্গেও দেখা করা যাবে না বলে জানানো হয়। এরপরই সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়ে পড়ুয়ারা। 

 

তাদের দাবি, পাস পেপারগুলির আবার পরীক্ষা হোক। পড়ুয়াদের বক্তব্য, “অনেক পরীক্ষার্থী ৬০% নম্বর নিয়ে অনার্স পাশ করেছে। শুধু পাস পেপারের জন্য ভুগতে হচ্ছে আমাদের।” কলেজে পাস পেপারের ক্লাসও ঠিকমতো হয় না বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের।

পার্থবাবু বলেন, এত বড় একটা ঘটনা, কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাঁকে আগে কিছুই জানায়নি। এ ব্যাপারে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে আঙুল তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। সেই কারণেই তিনি কৈফিয়ৎ দাবি করবে সোমবারের বৈঠকে। সেইসঙ্গে তিনি জানতে চাইবেন, এবার থেকে নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হয়েছে। তার কোনও প্রভাব কি ফলাফলের উপর পড়ল, তাও জানতে চাইবেন পার্থবাবু। উল্লেখ্য, এবার কলকাতা বিএ পার্ট ওয়ানের পরীক্ষায় ফেল করেন ৫৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী। শুধু বিএ-তেই নয়, বিএসসি-তেও খারাপ ফল হয়েছে এবার। বিএসসি-তে ফেল করেছেন ২৯ শতাংশ ছাত্রছাত্রী। পাস ও অনার্স- দুই বিভাগেই এমন হতাশজনক ফলাফল হয়েছে এবার।