এবার সংখ্যালঘু স্কলারশিপের জন্য আবেদনে ভুলভ্রান্তি বা জালিয়াতি ঠেকাতে ডাবল চেকিং-এর ব্যবস্থা রাখবে সরকার। গতবছরের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবছর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতবছর অনলাইন আবেদনে প্রচুর ভুলভ্রান্তি ছিল। জালিয়াতির অভিযোগও উঠেছিল। খোদ মাদ্রাসা শিক্ষা ও সংখ্যালঘু দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গিয়াসুদ্দিন মোল্লা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। শুধুমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জেলাস্তরেও একটি তদন্ত হয়। দেখা গিয়েছে, অনেক আগে পাশ করে যাওয়া ছাত্রছাত্রীদের নামেও স্কলারশিপের আবেদন জমা পড়েছে। এবার ভুল বা জালিয়াতির প্রাথমিক দায়ভার স্কুলের উপর আরোপ করার ব্যবস্থা সেরে ফেলেছে সরকার।
সম্প্রতি এক নির্দেশে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে আবেদনপত্রগুলি যাচাই করবেন বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন নোডাল শিক্ষক। তারপর সেগুলি জেলাস্তরে একবার পরীক্ষা হবে। কোনও ভুল ধরা পড়লে তার দায় বর্তাবে স্কুলের, নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে ওই শিক্ষকের উপর। যে সব স্কুলে অনেক সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রী এই প্রি এবং পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপের জন্য আবেদন করেছে, সেই সব স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে ওয়ার্কশপেরও আয়োজন করা হয়েছিল রাজ্যের তরফে। সেখানে আবেদন প্রক্রিয়ার যাবতীয় খুঁটিনাটি প্রক্রিয়া সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করা হয়েছে তাঁদের। ন্যাশনাল স্কলারশিপ পোর্টালে গিয়ে এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হয়।