bengali

কলকাতার বেশ কয়েকটি কলেজে বাণিজ্যের পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে বিভ্রান্তি

Webdesk | Thursday, February 1, 2018 4:06 PM IST

বুধবার কলকাতার একাধিক কলেজে বাণিজ্যের সেমেস্টার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ালো। জানা গিয়েছে, অনার্স এবং জেনারেলের প্রশ্নপত্রের কোড মিশে যাওয়ায় এই বিপত্তি ঘটেছে। তবে পরীক্ষা বাতিল করা হয়নি। বরং সময় বাড়িয়ে বেলার দিকে সেই পরীক্ষা ফের নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কী করে এমন ভুল হল, তা নিয়ে শিক্ষামহলে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলির মধ্যেও চাপানউতোর শুরু হয়েছে। 
ঠিক কি হয়েছিল? 
কমার্সের ফিনান্সিয়াল অ্যাকাউন্টিং-এর পরীক্ষা ছিল। অনার্স এবং জেনারেল-এর পরীক্ষা একসঙ্গেই নেওয়া হয়। কিন্তু প্রশ্নপত্র আলাদা করা ছিল। এতদিন পরীক্ষা হত দু'টি ভাগে। কিন্তু এবারই প্রথা ভেঙে একই সময়ে পরীক্ষা ফেলা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে প্রশ্ন এসেছে, সেই প্যাকেটেও অনার্স ও পাশের প্রশ্নপত্র আলাদা ছিল। যাতে গুলিয়ে না যায়, তারজন্য আলাদা কোড ব্যবহার করা হয়েছিল। অর্থাৎ, অনার্সের জন্য ১.১সিএইচ এবং পাশের ক্ষেত্রে ১.১সিজি। কিন্তু এখানেই বিপত্তি ঘটে। 
অভিযোগ, বহু কলেজ এই কোড গুলিয়ে ফেলায় পুরো বিষয়টি এলোমেলো হয়ে যায়। অনার্সের প্রশ্নপত্র দিয়ে দেওয়া হয় জেনারেলের পড়ুয়াদের। ১১টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। এক ঘণ্টা পর যখন বিষয়টি নজরে আসে, তখন সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামকের অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারপর সময় পরিবর্তন করে ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হয়। 
হরিমোহন কলেজ সহ উত্তর ও মধ্য কলকাতার বেশ কয়েকটি কলেজ থেকে এই বিভ্রান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। 
তবে এদিন শুধু প্রশ্নপত্র নিয়ে নয়, উত্তরপত্র নিয়েও বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। জেনারেল পড়ুয়াদের প্রশ্নে লেখা ছিল তিনটি বিভাগ যথাক্রমে এ, বি এবং সি’র জন্য পৃথক উত্তরপত্রে উত্তর লিখতে হবে। কিন্তু দেখা যায়, পর্যাপ্ত উত্তরপত্র নেই। আসলে যত সংখ্যক উত্তরপত্র প্রয়োজন, তত পাঠানো হয়নি। পরে আবার পরীক্ষা নিয়ামক অফিস থেকে জানানো হয়, একটি উত্তরপত্রেই সব প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। 
কিন্তু কেন এই বিভ্রান্তি? কয়েকটি কলেজের অধ্যক্ষরা বলেন, আসলে সংশ্লিষ্ট কলেজের ভুলেই এটি হয়েছে। কারণ, জেনারেল এবং অনার্সের পরীক্ষা একই সময় হচ্ছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগেই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, দু'টি শ্রেণীর পড়ুয়াদের আলাদা ঘরে বসাতে। কিন্তু কিছু কলেজ তা মানেনি। আর তা থেকেই বিভ্রান্তির সূত্রপাত।