যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ও গোটা ঘটনার তদন্ত করতে তদন্ত কমিটি গড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও আরও কয়েক্তি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেগুলি হল - ক্যাম্পাসে মদ-মাদক সেবন বন্ধ করা এবং রাতে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে আনা।
মঙ্গলবার উপাচার্য সুরঞ্জন দাস এবং অন্যান্য আধিকারিক ও শিক্ষকদের বৈঠকে স্থির হয়েছে, রাত সাড়ে ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত পরিচয়পত্র ছাড়া কেউ ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার লাগানো গাড়ি ছাড়া অন্য গাড়িকেও ওই সময় ঢুকতে দেওয়া হবে না। মাদকদ্রব্য সেবনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি-র যে-কড়া নির্দেশ রয়েছে, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াবসাইটে দিয়ে দেওয়া হবে। তার পরেও মদ-মাদক সেবন চললে কড়া শাস্তি হবে।
ক্যাম্পাসে মদ-মাদক সেবন এবং বহিরাগতদের ঘিরে রবি ও সোমবার হস্টেলে মারধর ছাড়াও দু’দল ছাত্রের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। প্রবেশিকা পরীক্ষাকে ঘিরে সাম্প্রতিক টানাপড়েনে এমনিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে পড়েছে। তার পরে মদ-মাদক আর বহিরাগতদের ঘিরে গোলমাল পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, '' গত দু’দিনের ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। কমিটিতে থাকছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ফ্যাকাল্টির চার শিক্ষক-প্রতিনিধি, চার শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং ডিন অব স্টুডেন্টস।'' সাম্প্রতিক ঘটনায় হস্টেলে নিয়ম ভেঙে থাকার বিষয়টি আবার সামনে এসে পড়েছে। অভিযোগ, এ বারের গোলমালে সোমবার কলা বিভাগের এক ছাত্রকে মেন হস্টেলে টেনে নিয়ে গেলে অন্য তিন ছাত্র তাঁকে বাঁচাতে যান। চার জনকেই নিগ্রহের মুখে পড়তে হয়। যাঁদের বিরুদ্ধে নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের অনেকেই হস্টেলের আবাসিক নন বলে অভিযোগ।