রাজ্যে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষক বা শিক্ষিকা-পিছু ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৪৪। অথচ এর সর্বভারতীয় অনুপাত ৩৪। বাংলার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-প্রতি পড়ুয়ার সংখ্যা যে সর্বভারতীয় অনুপাতের তুলনায় অনেক বেশি, সেই তথ্য উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের ২০১৭-’১৮ সালের ‘অল ইন্ডিয়া সার্ভে অন হায়ার এডুকেশন’-এ।
ওই সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, শিক্ষক-পড়ুয়া অনুপাতের প্রশ্নে কর্ণাটক, কেরল, অন্ধ্র, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, এমনকি ছত্তীসগঢ়েরও পিছনে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। দূরশিক্ষা ও রেগুলার কোর্স বা সাধারণ পাঠ্যক্রমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে শিক্ষক-পড়ুয়া অনুপাতিক হার দেওয়া হয়েছে ওই রিপোর্টে। শুধু রেগুলার কোর্সে সর্বভারতীয় অনুপাত ৩০। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে সেটা ৩৯।
রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচুর শিক্ষকপদ শূন্য থাকার অভিযোগ নিয়ে বিরোধী শিক্ষক সংগঠনগুলি সরব হয়েছে বারবার। তাদের অভিযোগ, সময়ে নিয়োগ না-হওয়ায় পড়াশোনা থেকে গবেষণা— সবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সম্প্রতি কলেজে শিক্ষক নিয়োগে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যের কলেজ সার্ভিস কমিশন বা সিএসসি। শিক্ষক ও ছাত্রের অনুপাতে সামঞ্জস্য না-থাকায় সম্প্রতি রাজ্যের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দূরশিক্ষার পাঠ্যক্রম চালানোর অনুমোদন বাতিল করে দিয়েছিল ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। তাদের মধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ফের ওই পাঠ্যক্রম চালু হলেও শিক্ষক-ঘাটতির সমস্যার বিশেষ সুরাহা হয়নি।