এনসিটিই-র নির্দেশিকা মেনে বিএড কলেজগুলিতে শিক্ষকের সংখ্যা বাড়াতে হচ্ছে রাজ্যকে। এর জন্য ১৩৭টি পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য সদ্য ইন্টারভিউ শুরু করেছে কলেজ সার্ভিস কমিশন। পাশাপাশি, প্রায় ১৪০টি অধ্যক্ষের পদ পূরণ করার জন্যও দ্রুত ইন্টারভিউ শুরু হবে বলে কলেজ সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর।
এদিকে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নেট)-এর ফলাফল বেরিয়ে গিয়েছে। তাই কলেজ সার্ভিস কমিশনের উপরও চাপ রয়েছে স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট (সেট)-এর ফল দ্রুত প্রকাশ করার। সেই ফল ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে প্রকাশ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে কমিশন।
পুরনো নিয়ম অনুযায়ী, বিএড কলেজগুলিতে প্রতি ১০০ জন ছাত্রছাত্রী পিছু আটজন শিক্ষক থাকতে হত। কিন্তু সাম্প্রতিককালে শিক্ষক শিক্ষণের কেন্দ্রীয় নিয়ামক সংস্থা ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই) এই সংক্রান্ত নিয়ম বদল করেছে। এখন ৫০ জন ছাত্রছাত্রী পিছু আটজন শিক্ষক থাকা আবশ্যিক। কিন্তু সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিএড কলেজগুলিতে এই শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত বজায় রাখা অসম্ভব।
দেখা গিয়েছে, এই অনুপাত ধরে রাখতে গেলে অন্তত ৩৩১টি পদে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ করা আবশ্যক। সেই শূন্যপদ সৃষ্টি করা হলেও অর্থ দপ্তর মাত্র ১৩৭টি পদের অনুমোদন দিয়েছে। তাই সেই সংখ্যক পদের জন্য চলতি মাস থেকে ইন্টারভিউ শুরু করতে হয়েছে কমিশনকে।
অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটর বা এপিআই স্কোরের গেরোয় অধ্যক্ষ পদের জন্য যোগ্য প্রার্থী পায়নি কমিশন। তাই অনেক শূন্যপদ থাকলেও গতবার ৭০ জনের মতো যোগ্য প্রার্থী পাওয়া গিয়েছিল।