পঞ্চায়েত ভোট শেষেই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। শীঘ্রই জানিয়ে দেওয়া হবে ইন্টারভিউয়ের সময়সূচি বলে জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন ৷ ইতিমধ্যেই আবেদন পত্র নেওয়ার কাজ শেষ ৷ নিয়োগে সুযোগ পাবেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণহীনরা ৷
সোমবার উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে অনুমতি দিল হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই অনুমতিতে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হল।
এদিন হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় মাত্র ১০ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবে না রাজ্য। তার কারণ ওই ১০ শতাংশ পদ সংরক্ষিত। মামলাকারীদের জন্য ১০ শতাংশ পদ সংরক্ষিত রাখা হবে। ওই ১০ শতাংশ বাদ দিয়ে ১৪ হাজারের প্যানেল থেকে শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে। অর্থায ১৪ হাজারের মধ্যে ১৪০০ জনের নিয়োগ করা যাবে না। ২০১৬ সালের মে মাস থেকে আইনি-জটে আটকে রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া।
২০০৯ সালে মামলা করেছিলেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। প্রথমে বিচারপতি রাজীব শর্মার এজলাসে মামলাটির শুনানি হয়। তিনি তখন আপার প্রাইমারির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেন।
পরে মামলাটি বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে ওঠে। আজ শুনানির পর বিচারপতি বলেন, “১০ শতাংশ শূন্যপদে নিয়োগ নিয়ে মামলা হয়েছে। তারজন্য বাকি ৯০ শতাংশ শূন্যপদে নিয়োগ আটকে থাকতে পারে না।” তিনি আজ নির্দেশ দেন, নিয়ম মেনে স্কুল সার্ভিস কমিশন ৯০ শতাংশ শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করুক। যে ১০ শতাংশ শূন্যপদে নিয়োগ নিয়ে আপত্তি, তা নিয়ে আগামী জুলাই মাসে শুনানি হবে।
২০১৬ সালের মে মাসে প্রকাশিত হয় নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ৷ কিন্তু মামলার জটে আটকে ছিল নিয়োগ ৷ ১৪ হাজার শিক্ষকের প্যানেল তৈরি করা হয়েছে ৷ এবার শীঘ্রই ১২ হাজার ৬০০ জনকে নিয়োগ করা যাবে ৷