bengali

ডি.এ বেতনেরই অংশ কি না তা প্রমাণ করতে বলল হাইকোর্ট

Webdesk | Thursday, January 18, 2018 12:08 PM IST

পে কমিশনের সুপারিশ রাজ্য সরকার মোটামুটি মেনে নিলেও তা পুরোপুরি মানতে চাইছে না রাজ্য সরকার। চেঙ্গিস খান বা তার মতো মানসিকতা সম্পন্ন না হলে সরকার ডিএ দিতে বাধ্য। আইনমাফিক তৈরি হওয়া নিজ কর্মীদের ডিএ প্রদান পদ্ধতি সরকার অস্বীকার করতে পারে না। মামলাকারীদের তরফে বুধবার এমন দাবি করা হলেও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি শেখর বি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায়, ডিএ বেতনের অংশ কি না? ডিএ কর্মীদের নিজস্ব আয়, এই তত্ত্বও মামলাকারীকে প্রমাণ করতে হবে। 
এদিনের শুনানিতে মামলাকারীর তরফে বলা হয়, সংবিধানের ৩০৯ নম্বর সনদ অনুসরণে ‘রোপা রুল’ তৈরি হয়েছিল। তাই যতক্ষণ না সংবিধানবিরুদ্ধ বলে ঘোষিত হচ্ছে, ততক্ষণ তা সম্পূর্ণ বৈধ। এই সওয়াল সূত্রেই বেঞ্চের তরফে বলা হয়, তাহলেও দেখাতে হবে যে, মহার্ঘ ভাতা বেতনেরই একটি অংশ। যা সরকার দিতে অস্বীকার করতে পারে না। এও দেখাতে হবে, মহার্ঘ ভাতা পাওয়াটা সরকারি কর্মীদের আইনি অধিকার।
এর জবাবে মামলাকারীদের আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলি বেঞ্চকে জানান, সংবিধানের ৩০৯ নম্বর সনদ অনুসরণে রোপা রুল তৈরি হওয়ার পর ১৯৭৯ সাল থেকে তা দেওয়া হয়ে আসছে। মুদ্রাস্ফীতির কবল থেকে সরকারি কর্মীদের রক্ষা করতে ‘কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স’ বা সিপিআই অনুসরণে মহার্ঘ ভাতার পরিমাণ নির্ধারিত হয়ে থাকে। প্রতি ছয় মাস অন্তর যা নির্ধারিত হয়। রাজ্য এক্ষেত্রে সাধারণত কেন্দ্রীয় সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে। যে কারণে রাজ্য সরকার ২০০৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রোপা অনুসরণেই এই প্রসঙ্গে গেজেট নোটিফিকেশন প্রকাশ করেছিল। উল্টোদিকে তার আগে কমিশন তার রিপোর্টে বলেছিল, রাজ্য ঠিকভাবে এক্ষেত্রে নিয়মনীতি অনুসরণ করেনি। 
তিনি বলেন, ২০০৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৮ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত যে মহার্ঘ ভাতা বকেয়া হয়েছিল, তা কীভাবে দেওয়া হবে, তা ঠিক করার জন্য রাজ্যই দু-দু’টি মেমো প্রকাশ করেছিল। অথচ, পরবর্তীকালে রাজ্য বলছে, মহার্ঘ ভাতা পাওয়া কর্মীদের অধিকার নয়। এই অবস্থায় কর্মীরা চান, রোপা অনুযায়ী এই ভাতা নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। কারণ, রাজ্য রোপা-র পদ্ধতি পূর্ণাঙ্গভাবে মানছে না।