আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাশ ধরতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ সংখ্যালঘু দফতরের অধীনে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে চলছে, তাতে খুশি নন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তিনি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক তত্ত্বাবধানের ভার নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে আলিয়াকে উচ্চশিক্ষা দফতরের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনাও শুরু হয়েছে।
উপাচার্য আবু তালেব খানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগকে ঘিরে পড়ুয়ারা দীর্ঘদিন ধরেই সরব। তাঁদের আন্দোলন এবং উপাচার্যের বিভিন্ন পদক্ষেপের জেরে আলিয়ায় যে-অচলাবস্থা চলছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রী ভীষণ অসন্তুষ্ট। আর্থিক অনিয়ম, স্বজনপোষণ-সহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ আছে ওই উপাচার্যের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে ছাত্র-অসন্তোষ চরমে উঠেছে। ঘেরাও-অবস্থান লেগেই আছে। ফলে পঠনপাঠনও বিঘ্নিত হচ্ছে। উপাচার্য পথে নামা পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে পুলিশ ডাকার পাশাপাশি নানা ধরনের পদক্ষেপ করায় জটিলতা বেড়েছে বলে শিক্ষা শিবিরের একাংশের পর্যবেক্ষণ। এই পরিস্থিতির অবসান ঘটানোর জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হচ্ছে সেপ্টেম্বরে। নতুন উপাচার্য নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি গঠনের দায়িত্ব শিক্ষামন্ত্রীকে আগেই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পার্থবাবু বলেন, ' আলিয়ায় উপাচার্য নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আমরা কয়েকটি তালিকা তৈরি করছি। ' আর এর মধ্যেই চলছে আলিয়াকে উচ্চশিক্ষা দফতরের আওতায় নিয়ে আসার তোড়জোড়।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন শুরু হয় ২০০৮ সালে। সূচনা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টি সংখ্যালঘু দফতরের অধীনে ছিল। মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘু দফতরের পূর্ণ মন্ত্রী হলেও তিনি নানান কাজে ব্যস্ত থাকায় আলিয়ার প্রশাসনিক বিষয়টি দেখেন ওই দফতরের প্রতিমন্ত্রী গিয়াসুদ্দিন মোল্লা। ২০১৩-র অক্টোবরে আবু তালেব উপাচার্যের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা শুরু হয়। চার বছরে অচলাবস্থা কাটাতে ব্যর্থ গিয়াসুদ্দিনও। তাই মুখ্যমন্ত্রী চান, শিক্ষামন্ত্রী এই বিষয়টি দেখুন।