bengali

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফলে গরমিল, বেআইনিভাবে পড়ুয়াদের ‘গ্রেস নম্বর’ দেওয়ার অভিযোগ

Webdesk | Monday, January 29, 2018 10:32 AM IST

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফল বিভ্রাটের তদন্তে সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই তথ্য বলছে, অন্তত দশ হাজার পরীক্ষার্থীর রেজাল্টে ব্যাপক গরমিল ধরা পড়েছে। সেই সঙ্গে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ঢালাও গ্রেস নম্বর দিয়ে পাশ করানো হয়েছে পরীক্ষার্থীদের! এই ঘটনা সামনে আসার পর চক্ষু চড়কগাছ বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির আধিকারিক ও অধ্যাপকদের। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নতুন করে ফল প্রকাশের ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। 
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়মের বাইরে ঢালাও গ্রেস নম্বর দিয়ে পাশের হারও অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার্থীদের গ্রেস নম্বর দেওয়ার কোনও রকম নিয়মই নেই, সেখানে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেদার গ্রেস নম্বর দিয়ে পাস করানোর অভিযোগ উঠেছে। প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক গোপালচন্দ্র মিশ্র এবং প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ামক সনাতন দাসের আমলেই এই কাণ্ড ঘটেছে বলে অভিযোগ।
২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর নির্দিষ্ট সময়ের অনেক দেরিতে স্নাতক স্তরের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই ফল প্রকাশের মধ্যে চরম অসঙ্গতি ধরা পড়ে। অসঙ্গতিপূর্ণ ফল নিয়ে আন্দোলনে নামেন ছাত্রছাত্রীরা। ফল প্রকাশের তিনদিন পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেন নতুন উপাচার্য অধ্যাপক স্বাগত সেন। ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের পর ফল বিভ্রাটের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি তৈরি করে দেন নতুন উপাচার্য স্বাগত সেন। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ইতিমধ্যেই উপাচার্যের কাছে জমা পড়েছে। তাতে প্রচুর অসঙ্গতির প্রমান মিলেছে বলে সূত্রের খবর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানাচ্ছে, অসংখ্য ফেল করা ছাত্রছাত্রীকে গ্রেস নম্বর দিয়ে পাশ করানো হয়েছে। কোনও রকম লিখিত সিদ্ধান্ত ছাড়াই সেই কাজ বেআইনিভাবে করা হয়েছে। এক থেকে আট পর্যন্ত নম্বর গ্রেস দেওয়া হয়েছে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীকে। ফলে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে পাশের হার। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মে বলা আছে যে গ্রেস নম্বর শুধুমাত্র দেওয়া যেতে পারে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর স্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষায়। তাও শুধু সফল পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেই করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রেও পরীক্ষা কমিটির অনুমতি নিয়ে গ্রেস নম্বর দেওয়া যায়। কিন্তু কোনওভাবেই প্রথম বা দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার্থীদের গ্রেস নম্বর দেওয়া যায় না। এই প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক স্বাগত সেন বলেন, অনেক অসংগতি ধরা পড়েছে। সেসব দূর করে কিভাবে স্বচ্ছ ফলাফল প্রকাশ করা যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।